সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের সড়কে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই সময়সীমা দেওয়া হয়।
‘শাকসু বানচালের উদ্দেশ্যে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে শাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন একদল শিক্ষার্থী। কর্মসূচি থেকে তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ প্রকাশ না করলে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শাকসু নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, প্রশাসন দুর্নীতিতে জড়িত। ছাত্র প্রতিনিধি তৈরি হলে তাঁরা এই অন্যায়গুলো করতে পারবেন না। তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চান। তারা শিক্ষার্থীদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এত দিন নীরব রাখার চেষ্টা করেছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ না পেলে শাবিপ্রবি অচল করে দেওয়া হবে।
ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা নতুন করে কোনো মুলা ঝোলানো আশ্বাস দেখতে চাই না। নভেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। শাকসু বানচালের চেষ্টা করা হলে আপনাদের পতিত স্বৈরাচারের মতো বিতাড়িত করা হবে। রোডম্যাপ ঘোষণা না করা হলে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলবে। দলমত-নির্বিশেষে শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে একমত।’
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পক্ষের শিক্ষক ও তাঁদের ছাত্রসংগঠনের নেতাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে শাকসু নির্বাচনে অসহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, যারা শাকসু নির্বাচনে বাধা দিতে চায়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের কঠোর হাতে মোকাবিলা করব।’
এর আগে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শাকসু নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন করে গঠনতন্ত্র হস্তান্তরের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এখন ঢাকা থেকে সিলেটে আসতেছি। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
Comments