Image description

গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ১১ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যত ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই হামলায় গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে এক বিবৃতিতে জানায়, রাফাহ এলাকায় অভিযানরত সেনাদের ওপর হামাস যোদ্ধারা অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলি চালায়। ইসরায়েল এটিকে “যুদ্ধবিরতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন” হিসেবে উল্লেখ করে জবাবে বিমানবাহিনী ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “হামাসের টানেল ও সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে, যেখানে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়।”

অন্যদিকে, হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইজ্জাত আল রিশেক দাবি করেছেন, তাদের সংগঠন যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে, বরং ইসরায়েলই এটি লঙ্ঘন করেছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ৪৭টি লঙ্ঘন করেছে, যাতে ৩৮ জন নিহত এবং ১৪৩ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাফাহ ও খান ইউনুসে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নতুন করে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা হামাসের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে “বিশ্বস্ত তথ্য” পেয়েছে। এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা বাহিনীকে গাজায় “দৃঢ় পদক্ষেপ” নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাফাহ সীমান্ত এখনো বন্ধ রয়েছে, এবং ইসরায়েল জানিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এটি খোলা হবে না।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সংঘাত, যা নাজুক শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও বিপন্ন করেছে। গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, কয়েক লাখ মানুষ খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকটে রয়েছেন।

সূত্র: এবিসি