Image description

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপনটি কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২৮ আগস্ট, যখন 'সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫' এর গেজেট জারি করা হয়। এই বিধিমালায় 'সহকারী শিক্ষক (সংগীত)' ও 'সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)' নামে দুটি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবে, এই পদ সৃষ্টির পর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এর তীব্র বিরোধিতা করে এবং সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্ম শিক্ষকের পদ সৃষ্টির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় 'সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫' সংশোধন করে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই সংশোধনীতে 'সহকারী শিক্ষক (সংগীত)' ও 'সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)' নামে নতুন সৃষ্ট পদ দুটি বাদ দেওয়া হয়। ফলে, এই দুটি পদ বাতিল বলে বিবেচিত হবে বলে সরকার জানিয়ে দেয়।

বিধিমালা সংশোধন করে জারি করা এই প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।