তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে আবারও পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এবার তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। শিক্ষকদের এই আন্দোলনের ফলে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক পরীক্ষাও চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
গতকাল বুধবার ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী রোববার থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরুর পূর্বঘোষণা থাকলেও তা এগিয়ে আনা হয়েছে। ফলে আজ ২৭ নভেম্বর থেকেই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কার্যকর হচ্ছে। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি এগিয়ে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়, গত ৯ ও ১০ নভেম্বর যথাক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি ও অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা কর্মসূচি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সহকারী শিক্ষকদের প্রধান তিনটি দাবি হলো:
১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা।
২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করা।
৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত এবং শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় এক কোটি। শিক্ষকদের এই টানা কর্মবিরতিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।




Comments