Image description

হাড়কাঁপানো শীতে অনেকেই গোসল করতে ভয় পান। বিশেষ করে শীতের সকালে কিংবা রাতে গোসল করার কথা ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। কনকনে ঠান্ডার ভয়ে অনেকেই গোসল এড়িয়ে চলতে চান। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে ও পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে গোসল না করে থাকারও উপায় নেই। তাহলে এই শীতে গোসলের সঠিক সময় কোনটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের সকালে পরিবেশের তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। এ সময় গোসল করলে হুট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর ঠান্ডা লাগা মানেই জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভোগা। তাই খুব ভোর কিংবা সকালে গোসল না করাই ভালো। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

শীতকালে গোসল করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো দুপুর। যাদের সুযোগ আছে, তাদের জন্য দুপুরের রোদ ওঠার পর গোসল করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক। এতে ঠান্ডাজনিত রোগের ঝুঁকি কমে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, ঘুম থেকে উঠেই সরাসরি গোসলে না গিয়ে শরীরকে তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটু সময় নিন। গোসলের আগে গায়ে রোদ লাগাতে পারেন। এ সময় শরীরে তেল মেখে ২০-৩০ মিনিট রোদে বসে থাকলে শরীর যেমন উষ্ণ হয়, তেমনি সর্দি-কাশি থেকেও মুক্তি পাওয়া সহজ হয়।

শীতের তীব্রতা যতই থাকুক, নিয়মিত গোসল করা জরুরি। কারণ দীর্ঘ সময় গোসল না করলে শরীরে রোগ-জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে, যা বিভিন্ন চর্মরোগ ও সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সঠিক সময় ও নিয়ম মেনে শীতেও গোসল চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।