Image description

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা এবং সাম্প্রতিক প্রতিটি ঘটনায় সরকারের ভূমিকা রহস্যজনকভাবে নীরব বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কেন এখনো পদে বহাল রয়েছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

রোববার বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁরা এসব কথা বলেন।

বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নির্বাচন ও নাগরিক নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে নাগরিক কোয়ালিশন। আলোচনায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নানা দিক উঠে আসে।

বক্তারা বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। জাতীয় ঐকমত্য না থাকলে দেশের সব রাজনৈতিক শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকী।
 
জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘আজকে আমি যতজনের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাইকে একটা প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হয়েছে—নির্বাচন কি আদৌ হচ্ছে? এমন একটি গুমোট পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। তার মানে যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের স্বার্থই এই ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। একদিকে তারা হত্যা করছে, অন্যদিকে নানান প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করছে।’

আলোচকরা বলেন, বিচার ও সংস্কারই নির্বাচনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। যারা এটি ব্যর্থ করতে চায়, তারা দেশের শত্রু। এ বিষয়ে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বক্তারা।