বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার ও দল। বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলের নিরাপত্তা টিম। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে একটি যৌথ নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে। তাঁর বাসভবন ও প্রটোকলে ৩২ সদস্যের একটি বিশেষ দল মোতায়েন থাকবে, যাঁদের এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিকভাবে তাঁর সঙ্গে থাকবেন সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি এসএসএফ-এর সুবিধাও পেতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাঁরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর যাতায়াতের পথ, জনসম্মুখে উপস্থিত হওয়ার স্থান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া, বাসভবন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনসহ প্রতিটি মুভমেন্ট আমরা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করছি। আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা টিমের সাথে তারা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকেও আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, দেশে ফিরে তারেক রহমান ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেবেন। জনদুর্ভোগ এড়াতেই বিমানবন্দর সংলগ্ন এই এলাকাটি বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৩০০ ফিটেই সমাবেশ করা নিরাপদ। এতে পুরো ঢাকাকে যানজটের মুখে না ফেলে জনদুর্ভোগহীনভাবে অনুষ্ঠানটি সফল করা যাবে।’
তারেক রহমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁকে বহনকারী গাড়িবহরকে পুলিশ প্রটোকল দেবে ডিএমপি। তাঁর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ডিএমপির সোয়াট টিম ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নানা ছদ্মবেশে গোয়েন্দারা তাঁর নিরাপত্তার প্রতিটি দিক তদারকি করবেন।




Comments