দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি প্রবাসজীবনের ইতি টেনে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীর পূর্বাচল ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি করা হয়েছে সুবিশাল সংবর্ধনা মঞ্চ। নেতাকর্মীদের ঢল, স্লোগান-প্ল্যাকার্ড আর উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো এলাকা ইতিমধ্যে পরিণত হয়েছে এক বিশাল জনসমুদ্রে। দলটির প্রত্যাশা, এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ঘিরে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ২৫ ডিসেম্বর রূপ নেবে রাজনৈতিক মহামিলনে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে হাইওয়ে এলাকাতে দেখা যায়, কুড়িল থেকে শুরু করে মঞ্চ এলাকা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। কেউ কেউ এলাকাভিত্তিক জটলা পাকিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন, আবার কেউ সমবেতভাবে মিছিলে মুখর। এককথায় সবার মনেই উৎসবের আমেজ। সবার মুখে মুখে ফিরছে একটিই স্লোগান ‘লিডার’ আসছে।
এ ছাড়া, স্লোগান-প্ল্যাকার্ড আর নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসে পুরো এলাকা যেন বিশাল ‘উৎসবকেন্দ্রে’ পরিণত হয়েছে। আর নেতাকর্মীদের খাবারের জোগান দিতে পথে পথে হরেক রকমের খাবার ও পানি বিক্রি করছেন হকাররা। কিছু দূর পরপর দেখা মিলছে স্পিকারবাহী ট্রাক। সেখানে বাজছে দলীয় ও দেশাত্মবোধক গান।
পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসংখ্য সদস্য। রাত ৯টার দিকে মঞ্চ এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বাহারুল আলম।
জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে এসে সরাসরি সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন তারেক রহমান। এই প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করতে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ বাই ৩৬ ফুটের বিশাল মঞ্চ। গত রবিবার দুপুর থেকে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমে এটি প্রস্তুত করেছেন শ্রমিকরা। সংবর্ধনা কমিটির সদস্যরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও অভ্যর্থনা কমিটির সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান আসবেন। ওইদিন এই এলাকা মানুষের মহামিলন ও মহামেলায় পরিণত হবে বলে আমরা নিশ্চিত।




Comments