সারা বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে তার এবারের শুভেচ্ছাবার্তা কেবল নিছক উৎসবের আমেজে সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং সেখানে ফুটে উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সহিংসতা ও দুর্ঘটনায় স্বজন হারানো শিশুদের জন্য এক গভীর হাহাকার এবং সমাজের প্রতি জোরালো এক প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে সাকিব আল হাসান লেখেন, ‘রাজশাহীর পঙ্গু মাসুদের ছোট্ট শিশু, টাঙ্গাইলের মোমিনের ছোট্ট শিশু, সদ্য নৃশংস হত্যার শিকার দীপু দাশের ছোট্ট শিশু, গোপালগঞ্জের দীপ্ত সাহার ছোট্ট শিশু, ওসমান হাদির ছোট্ট শিশু—আরও কত শত শিশু আজ এতিম হয়ে গেছে!’
এসব শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই শিশুদের জীবন যেন আগামীর জন্য দুর্বিষহ না হয়—সে দায়িত্ব বাংলাদেশের, তথা আমাদের।’
স্ট্যাটাসে সাকিব সাম্প্রতিক সময়ে প্রাণ হারানো লক্ষ্মীপুরের শিশু আয়শা এবং মাগুরার নির্যাতিতা শিশু আছিয়ার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘ওরা কেউ রাজনীতি বোঝে না, ধর্ম বোঝে না—তবুও ওদের জীবন দিতে হয়েছে! শিশুদের জন্য, শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য, মানুষের মতো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার জন্য—সর্বোপরি শিশুর বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়বার জন্য—আমরা কি ঠিক দায়িত্বশীল আচরণ করছি?’
পরিশেষে দেশের আগামীর কারিগর ও নতুন প্রজন্মের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে সাকিব লেখেন, ‘ভালো থেকো, সুস্থ থেকো—আগামী গড়বার কারিগর, আমাদের আগামী প্রজন্ম। সবাইকে বড় দিনের শুভেচ্ছা।’
সাকিব আল হাসানের এই ব্যতিক্রমধর্মী শুভেচ্ছাবার্তাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশংসা করছেন। সাকিবের এই বার্তা যেন সাধারণ উৎসবের ঊর্ধ্বে গিয়ে এক নিরাপদ ও মানবিক সমাজ গড়ার আহ্বানে পরিণত হয়েছে।




Comments