Image description

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শনিবার ভোরে একাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার কারণে পুরো শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভলোদিমির জেলেনস্কির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগমুহূর্তে এই হামলা চালাল মস্কো।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটচকো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বার্তায় জানান, রাজধানীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় কাজ করছে। তিনি নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনীও দেশজুড়ে উচ্চ সতর্কবার্তা (এয়ার অ্যালার্ট) জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসছে। 

বার্তাসংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ভোরে তিনি বেশ কয়েকটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং কিয়েভের আকাশে আগুনের বিশাল কুণ্ডলী দেখা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার টাইমিং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী রোববার ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ২০ দফার একটি খসড়া শান্তি প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যদি উভয় দেশ একমত হয়, তবে বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রকে সীমানা ধরে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। অর্থাৎ রুশ সেনারা ইউক্রেনের যেসব ভূখণ্ড এখন দখলে রেখেছে সেখানেই অবস্থান করবে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সেনাদের পূর্বাঞ্চলীয় কিছু এলাকা থেকে পিছু হটতে হবে, যেখানে পরবর্তীতে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।