Image description

ফুটবল বিশ্বে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দীর্ঘ দুই দশকের একক আধিপত্য এখন শেষের পথে। ২০২৫ সালে উসমান দেম্বেলের ব্যালন ডি’অর জয় সেই পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দিয়েছিল। এবার ২০২৬ সালের ব্যালন ডি’অর পাওয়ার লড়াইকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন সমীকরণ।

আন্তর্জাতিক ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘গোলডটকম’ ২০২৬ ব্যালন ডি’অর দৌড়ে থাকা শীর্ষ ১০ ফুটবলারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে লিওনেল মেসি জায়গা পেলেও বাদ পড়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

প্রকাশিত পাওয়ার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। চলতি মৌসুমে ৩৫ গোল ও ৩টি অ্যাসিস্টের পাশাপাশি জার্মান সুপারকাপ জয় তাকে তালিকার এক নম্বরে রেখেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির গোলমেশিন আর্লিং হালান্ড। তিনি এখন পর্যন্ত ৩৮ গোল ও ৬টি অ্যাসিস্ট করে ট্রেবল জয়ের দৌড়ে সিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, যার ঝুলিতে রয়েছে ৩৮ গোল ও ৮টি অ্যাসিস্ট।

তালিকায় সবচেয়ে বড় চমক হলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অনুপস্থিতি। ৩৯ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা গোলস্কোরিংয়ে উজ্জ্বল থাকলেও সেরা দশের পাওয়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে তাকে রাখা হয়নি। অন্যদিকে, ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনার হয়ে আলো ছড়ানো লিওনেল মেসি রয়েছেন তালিকার নবম স্থানে। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মেসির পারফরম্যান্স তাকে এখনো ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে টিকিয়ে রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন বার্সেলোনার কিশোর বিস্ময় লামিন ইয়ামাল (১০ গোল, ১৪ অ্যাসিস্ট)। এছাড়া পঞ্চম স্থানে আর্সেনালের ডেক্লান রাইস, ষষ্ঠ স্থানে পিএসজির ভিতিনহা, সপ্তম স্থানে বায়ার্নের মাইকেল ওলিস, অষ্টম স্থানে লুইস দিয়াজ এবং দশম স্থানে রয়েছেন পিএসজির মরক্কান ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি।

২০২৬ সালে উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ এই পুরস্কারের ভাগ্য নির্ধারণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং আসন্ন আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের পারফরম্যান্সও তালিকায় রদবদল আনতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৫ সালে দেম্বেলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে যেভাবে পুরস্কারটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন, এবারও ক্লাব ও জাতীয় দলের বড় ট্রফি জয়ীদের পাল্লাই ভারী থাকবে।

আপাতত হ্যারি কেইন ও হালান্ডের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও, শীতকালীন বিরতি শেষে ইউরোপীয় ফুটবলের দ্বিতীয় পর্ব এবং বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করবে শেষ পর্যন্ত কার হাতে উঠবে ফুটবলের এই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সম্মান।