Image description

দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি প্রথমবারের মতো রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পা রাখেন। এক-এগারোর পরবর্তী সময়ে দলের এই কার্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও এর আগে কখনোই সেখানে যাননি তিনি।

রোববার বেলা ১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমান গুলশানের বাসভবন থেকে রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ শীর্ষ নেতারা তাঁকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

কার্যালয়ে প্রবেশের পর তারেক রহমান দোতলায় তাঁর জন্য নির্ধারিত কক্ষে বসেন এবং উপস্থিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন।

গুলশান কার্যালয়ের পাশাপাশি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তারেক রহমানের জন্য আলাদা একটি কক্ষ বা চেম্বার প্রস্তুত করা হয়েছে। দোতলায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষের পাশেই এই কক্ষটি তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বসে তিনি নিয়মিত সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

গত ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে সপরিবারে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। ২০০৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি সেখানে অবস্থান করেন। দেশে ফেরার পর তিনি রাজধানীর পূর্বাচলে বিশাল গণসংবর্ধনায় অংশ নেন এবং পর্যায়ক্রমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতি স্মৃতিসৌধে ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজার এবং ইনকিলাব মঞ্চের শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেন।

ইতিমধ্যে তিনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে প্রয়োজনীয় ছবি ও আঙুলের ছাপ প্রদানসহ জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজও সম্পন্ন করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের সরাসরি কার্যালয়ে বসা এবং সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।