Image description

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। এ নিয়ে দলটির মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতার সমর্থন থাকলেও আপত্তি জানিয়ে নাহিদ ইসলামকে চিঠি দিয়েছেন ৩০ নেতা। তাদের মধ্যে অন্তত ৩ জন নেতা ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।

এমতাবস্থায় আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) জোটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে। জামায়াত ও এনসিপি সূত্রে জানিয়েছে, দল দুটির জোট নিয়ে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত। জোট হলে তারা কিভাবে কাজ করবে এবং কোন আসনে কে বা কারা প্রার্থী হবেন, কোন দলের কতজন প্রার্থী থাকবে, সে সব বিষয়ে নতুন ঘোষণা আসতে পারে আজ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আসন সমঝোতার অংশ হিসেবে জামায়াত এনসিপির জন্য অন্তত ২০-২৫টি আসন ছেড়ে দিতে পারে।

এর মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ অন্যান্য জনপ্রিয় কয়েকজন নেতার আসন উল্লেখযোগ্য।

জামায়াতের একটি সূত্র জানায়, এনসিপির শীর্ষ ৫ জন নেতার আসন নিশ্চিতের বিষয়ে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। বাকি ১৫ জনের ব্যাপারে পর্যালোচনা চলছে। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে সমঝোতা বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার বলেন, ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গেই অন্য দলগুলোর মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হতো। সেখানে সংস্কারের পয়েন্টগুলোতে ন্যাচারালি (স্বাভাবিকভাবেই) এনসিপি, জামায়াত এবং অন্য দলগুলো একমত হয়েছে। সেক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়, দেশটাকে নতুন করে গড়া, নতুনভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে গড়ে তোলার জন্য যে রাজনীতি, সে রাজনীতির প্রতি যে কমিটমেন্ট সেটাকেই নির্বাচনী রাজনীতিতে জোটের বা সমঝোতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রধানতম বিবেচ্য বিষয় হিসেবে এটাকে মূল্যায়ন করছি।