Image description

অবশেষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথে সব বাধা দূর হলো নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার। ঋণ খেলাপির তালিকায় (সিআইবি) থাকা তার নাম সম্বলিত তালিকাটি স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই স্থগিতাদেশ দেন। আদালত মান্নার নাম সম্বলিত সিআইবি তালিকাটি আগামী আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন।

আদালতে মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম লিটন। মান্নার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, চেম্বার আদালতের এই আদেশের ফলে মাহমুদুর রহমান মান্নার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হবে এবং তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

এর আগে গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মাহমুদুর রহমান মান্নার করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সময় আদালত জানিয়েছিলেন, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত নিয়ম পুরোপুরি পালিত না হওয়ায় সিআইবি তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না। হাইকোর্টের সেই আদেশের ফলে মান্নার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মান্নার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান 'আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড'-এর নামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়ার বড়গোলা শাখা থেকে নেওয়া ঋণ খেলাপি হওয়ায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়। গত ১০ ডিসেম্বর ব্যাংকটি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বকেয়া আদায়ের জন্য মান্না ও তার অংশীদারদের 'কল ব্যাক নোটিশ' দেয়।

আফাকু কোল্ড স্টোরেজে মান্নার ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০১০ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ দেওয়া হলেও নিয়মিত মুনাফা ও চার্জ পরিশোধ না করায় বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৩৮ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।

চেম্বার আদালতের আজকের এই স্থগিতাদেশের মাধ্যমে মান্না তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নির্বাচনী ময়দানে ফেরার সুযোগ পেলেন। এর ফলে নাগরিক ঐক্যের নেতা-কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।