Image description

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেকোনো মূল্যে স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতার চেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।

আইজিপি বাহারুল আলম প্রাক-নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, "জনমনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের দৃশ্যমান টহল বাড়াতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।" তিনি আরও জানান, পুলিশের দায়িত্ব পালনে কেউ বাধা দিলে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আদালতে সোপর্দ করতে হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন থানা থেকে লুণ্ঠিত হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন আইজিপি। এ সময় তিনি কর্মকর্তাদের বলেন, "লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে সরকার ঘোষিত পুরস্কারের বিষয়টি সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে, যাতে তারা তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে উৎসাহিত হয়।"

সভায় নভেম্বর ২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, মামলার তদন্ত, পরোয়ানা তামিল এবং বিচারের ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সাজার হার বৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন আইজিপি।

সভায় সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলা পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। পুলিশ সদর দপ্তরে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) এ কে এম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সারা দেশে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়ানোর এই নির্দেশনাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আইজিপির এই কড়া বার্তা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোবল বাড়াতে এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মানবকন্ঠ/আরআই