Image description

নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ার অভিযোগ তুলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। একই সঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

সোমবার ২৯ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি জানায়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও অনুকূল পরিবেশ না থাকায় তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সর্বোচ্চ উদ্যোগ রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করলেও উপরিউল্লেখিত পরিস্থিতি নির্বাচনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে রেখেছে বিধায়, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ছিল। দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিউমার্কেটে এক ব্যবসায়ী হত্যার মামলায় তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। পাশাপাশি দলটির একাধিক নেতার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

এদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

জাসদ তাদের বিবৃতিতে জানায়, তারা কোনো “একপাক্ষিক ও একতরফা” নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, একটি অনির্বাচিত অসাংবিধানিক সরকারের চেয়ে একটি নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার যে কোনো বিবেচনায় শ্রেয়। সেই বিবেচনা থেকেই জাসদ অতীতে বিতর্কিত কয়েকটি নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু একটি নির্বাচনমুখী দল হওয়া সত্ত্বেও আসন্ন অসাংবিধানিক গণভোট এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে একপাক্ষিক ও একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুস্পষ্টভাবে নিরপেক্ষ নয়। জাসদের অভিযোগ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের পরিবর্তে সরকার একটি অসাংবিধানিক গণভোট ও একপাক্ষিক সংসদ নির্বাচন আয়োজন করছে এবং নির্বাচন কমিশন সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।