জাতীয় শোক দিবসে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কারখানা খোলা রাখল এল অ্যান্ড পি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার দিন ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও জাতীয় শোকের মধ্যেই এল অ্যান্ড পি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন লিমিটেড খোলা রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির সাবেক চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিন এই প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এই কারখানা সরকারি প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরকারের প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার দিন (৩১ ডিসেম্বর) সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু এল অ্যান্ড পি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশ অমান্য করে কারখানার পাশাপাশি খোলা রেখেছে তাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম।
এ বিষয়ে কারখানার মার্কেটিং বিভাগের সহকারী ম্যানেজার তৌহিদ জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান 'জরুরি সেবা'র অন্তর্ভুক্ত বলে সাধারণ ছুটিতে বন্ধ রাখার বাধ্যবাধকতা নেই এবং সীমিত লোকবল নিয়ে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেল্ট সাপ্লাইয়ার হিসেবে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য নেই। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এ জরুরি সেবা হিসেবে হাসপাতাল, ফার্মেসি, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবহনের মতো খাত উল্লেখ আছে—যেখানে এ ধরনের উৎপাদন শিল্পের স্থান নেই।
আইনজ্ঞদের মতামত, সাধারণ ছুটির দিনে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সরকারি নির্দেশ অমান্যের শামিল এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হতে পারে। জাতীয় শোকের এই দিনে এমন কার্যক্রম স্থানীয় জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং প্রতিষ্ঠানটির সামাজিক দায়বদ্ধতার অভাব প্রকাশ পেয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।




Comments