
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় বেড়েছে। গত বছর দেশটির সাধারণ ক্ষমার সুযোগ যারা কাজে লাগাতে পারেননি, তারা বিপাকে পড়েছেন। আমিরাতের সরকার আটক করার পর নির্দিষ্ট কারাভোগ শেষে নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশি এক কাপড়ে দেশে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, দেশীয় স্পন্সরকে পর্যাপ্ত টাকা দেওয়ার পরও তাদের ভিসা নবায়ন করা হয়নি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা অবৈধ হয়ে পড়েন।
শারজাহ শহরে একটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয়কর্মীর কাজ করতেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মোহাম্মদ কামরুল। দুই বছর অবৈধভাবে বসবাসের পর আটক হন তিনি। প্রথমে রাখা হয় শারজার একটি কারাগারে। সেখান থেকে আবুধাবির সুইহান কারাগারে আট দিন থাকার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন কামরুল। একই ফ্লাইটে তাঁর সঙ্গে আরও ১৭ বাংলাদেশি ফেরেন বলে জানান তিনি।
মোহাম্মাদ মিজান জানান, বৈধ ভিসা না থাকায় আবুধাবির সুইহান কারাগারে বহু বাংলাদেশি আটক। কেউ কেউ ভিজিট ভিসায় গিয়ে দীর্ঘদিন অবৈধ থাকার পর আটক হয়েছেন। তাদের কাউকে এক সপ্তাহ, কাউকে ১৫ দিন কিংবা এক মাস কারাভোগ শেষে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ মিশনের তথ্যে, আমিরাতে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসের দেওয়া সাধারণ ক্ষমায় প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নিজের বৈধতা নিশ্চিত করেন। বৈধতা পেতে দুটি বাংলাদেশ মিশন থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন প্রায় ৬১ হাজার বাংলাদেশি। এমআরপি পাসপোর্ট নিয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার। একই সময় ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে দেশে ফিরেছেন পাঁচ হাজার ৬৫৭ বাংলাদেশি।
Comments