
এক বছরের দলীয় শাস্তির পর ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি আপসানা বেগম এবং সাবেক শ্যাডো চ্যান্সেলর জন ম্যাকডোনেলকে পুনরায় লেবার পার্টিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। লেবার দলের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ফলে তাদের দলের কার্যক্রমে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
২০২৪ সালে বিতর্কিত ‘টু-চাইল্ড বেনিফিট ক্যাপ’ বাতিলের পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কারণে আপসানা বেগম ও জন ম্যাকডোনেলসহ সাতজন বামপন্থী এমপির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল লেবার দলের নীতিনির্ধারক ফোরাম। এই নীতি অনুসারে, দুই সন্তানের বেশি হলে পিতামাতারা ইউনিভার্সাল ক্রেডিট বা শিশু কর ক্রেডিট দাবি করতে পারেন না। এই প্রস্তাব বাতিলের জন্য এসএনপি (স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি) একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল, যা আপসানা বেগম ও ম্যাকডোনেল সমর্থন করেছিলেন।
এই অবস্থান লেবার নেতৃত্বের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তাদের এক বছরের জন্য সংসদে লেবার দলের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে তাদের পুনর্বহাল করা হয়।
আপসানা বেগম, পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসের এমপি হিসেবে পরিচিত, ব্রিটিশ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের একজন উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধি। তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক সমতার পক্ষে কাজ করে আসছেন। একইভাবে, জন ম্যাকডোনেল, লেবার দলের একজন প্রভাবশালী বামপন্থী নেতা, দীর্ঘদিন ধরে দলের মধ্যে প্রগতিশীল নীতির পক্ষে কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত।
এই পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে অনেকে লেবার দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তবে, ‘টু-চাইল্ড বেনিফিট ক্যাপ’ নিয়ে বিতর্ক এখনও ব্রিটিশ রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। এই নীতির সমালোচকরা মনে করেন, এটি নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগকে সীমিত করে।
আপসানা বেগম ও জন ম্যাকডোনেলের পুনর্বহালের বিষয়ে লেবার দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, এই সিদ্ধান্ত দলের ভেতরে এবং বাইরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
Comments