Image description

বাংলাদেশে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ছায়ানট-উদীচীর কার্যালয়ে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। রোববার দুপুরে লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে নানা বয়সের শতাধিক মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন।

এদিন ‘ফিরে চল মাটির টানে’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’- এই দুটি গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুক্তরাজ্যের দুই প্রথিতযশা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উর্মি মাজহার ও ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ। সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক নুরুল ইসলাম এবং কমিউনিটি ব্রডকাস্টার জয়দ্বীপ রায়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লুসি রহমান, হিমাংশু গোস্বামী, হাবিব রহমান, হামিদ মোহাম্মদ, সৈয়দ আনাস পাশা, গোলাম মোস্তফা, গোপাল দাস, মৃত্তিকা সংহিতা অথই, শামীম চৌধুরী প্রমুখ।

ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘দেশের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচীসহ গণমাধ্যমের ওপর হামলা আমাদের বাঙালি জাতিসত্তা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মানবতাবাদী চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আমাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।’

উর্মি মাজহার বলেন, ‘গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা লক্ষ্য করছি—বাউল ও লোকসংগীতশিল্পীসহ বিভিন্ন শিল্পীর ওপর ধারাবাহিক হামলা চালানো হচ্ছে। এসব হামলার মাধ্যমে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। এক কণ্ঠ আজ কোটি কণ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

সাংস্কৃতিক সংগঠক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দীপক দাসকে যেভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে—তা বাংলাদেশকে এক অন্ধকার ও বর্বর যুগের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ তিনি  লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে তার শিশুকন্যাকে হত্যার কথা স্মরণ করিয়ে বিলেতের সকল সাংস্কৃতিক কর্মীকে বাংলাদেশে চলমান নৈরাজ্য ও বর্বরতার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে উপস্থিত সবাই আগামী দিনগুলোতেও যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক কর্মীদের এই ঐক্য বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘটে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি