
যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই পদক্ষেপ কার্যকর হতে পারে, যা আদালতের কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
ওয়াশিংটন ইতোমধ্যেই আইসিসির কয়েকজন বিচারক ও প্রসিকিউটরের ওপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এবার সরাসরি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করলে ব্যাংকিং সেবা, সফটওয়্যার ব্যবহার এবং কর্মীদের বেতন প্রদানের মতো মৌলিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে আদালত বিকল্প আর্থিক ব্যবস্থা ও সফটওয়্যার সরবরাহকারীর সন্ধান করছে এবং কর্মীদের বেতনও আগাম পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ওপর “অবৈধ এখতিয়ার” প্রয়োগ করছে। তারা বলছেন, মার্কিন সেনাদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপ আসছে এমন এক সময়ে যখন আইসিসি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আইসিসির ১২৫ সদস্য রাষ্ট্রের কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াশিংটন কঠোর অবস্থানেই অটল থাকবে।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হেগভিত্তিক এই আদালত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এর সদস্য নয়। আদালত ফিলিস্তিনকে সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সংঘটিত অপরাধের ওপর এখতিয়ার দাবি করছে, যা প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন ও তেলআবিব।
Comments