Image description

তামিম ইকবালসহ ১৬ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন নিয়ে যে উত্তেজনা শেষ বলে মনে হচ্ছিল, তা আবারও নতুন মোড় নিয়েছে। পর্দার আড়ালে এখনো সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একাধিক অভিজ্ঞ সংগঠককে নির্বাচনে ফিরিয়ে আনার জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ক্রিকেট পাড়ায়। তবে তামিম ইকবালের প্যানেলের নির্বাচন বর্জনের পেছনে একটি রাজনৈতিক মহলের দলীয় অবস্থানের কারণে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) পরিচালক নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা অভিজ্ঞ সংগঠক রফিকুল ইসলাম বাবু ও ইয়াসির আব্বাস বিসিবিতে হাজির হয়ে একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের আসার কারণ ব্যাখ্যা করেন। নির্বাচনের বিতর্ক বন্ধ করে, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে বিসিবিতে নতুন নির্বাচিত কমিটি আনার জন্য তাঁরা দুইটি প্রস্তাবনা পেশ করেন।

রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, "আমরা প্রথম যে প্রস্তাবনাটি দিচ্ছি, সেটি হলো এখন যে বোর্ড আছে, সেটির মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, কিছুদিনের জন্য অ্যাডহক কমিটি করে চালানো যেতে পারে।"

ইয়াসির আব্বাস বলেন, "নির্বাচনটা একটা প্রশ্নের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এটিকে আমলে নেওয়ার জন্য উপদেষ্টা ও বোর্ডকে অনুরোধ করছি, আমরা যেন দুনিয়ার কাছে ছোট না হই।"

তবে গত ২৪ আগস্ট এই সংগঠকরাই অ্যাডহক কমিটি গঠনকে অসাংবিধানিক বলেছিলেন, তাহলে এখন কেন ভিন্ন সুর? এই প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল ইসলাম বলেন, "অতীতে যা হয়েছে তা অতীত। সব ভুলে গিয়ে আমরা যদি ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে আমাদের আবার সংগঠিত হতে হবে। এইক্ষেত্রে আমি উপদেষ্টাকে আলাদা করে রাখছি। উনি অভিভাবক, আমাদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে, সেগুলো সমাধান করার দায়িত্ব উনার। এখানে গণমাধ্যমসহ অনেকে আছেন, যারা উপদেষ্টা বনাম একটি পক্ষ বানিয়ে ফেলেছেন, আসলে এটি হয়নি।"

অ্যাডহক কমিটি কিংবা বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবটা কি তামিম ইকবালসহ সেই সব প্রার্থীরও? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর মেলেনি সংবাদ সম্মেলনে।

রফিকুল ইসলাম বাবু কেবল বলেন, "আমরা আশা করছি, দেশ ও ক্রিকেটের স্বার্থে সবাই এগিয়ে আসবে। এখানে তামিমও কোনো ইস্যু না, ফাহিম-ও না, ফারুক আহমেদ-ও না। আমরা আশা করছি, দেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে সবাই ইতিবাচক থাকবে।"

আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে সব আনুষ্ঠানিকতাই প্রায় শেষ। তবে যদি-কিন্তুর যে হিসাব চলছে, তাতে শুক্রবার যদি নির্বাচনের হাওয়া নতুন মোড় নেয়, মোটেও অবাক হওয়ার মতো হবে না তা।