Image description

২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের জন্য আরও দুই দেশ তাদের টিকিট নিশ্চিত করেছে। নামিবিয়ার পর আফ্রিকা থেকে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে জিম্বাবুয়ে এই যোগ্যতা অর্জন করেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে বাকি তিনটি দল বিশ্বকাপ খেলবে, যার লড়াই ওমানে ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হবে।

টেস্ট খেলুড়ে দল হওয়া সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেনি, কারণ তারা বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে এবার আর কোনো ভুল করেনি সিকান্দার রাজার দল। আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে তারা ১৭তম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

সরাসরি সুযোগ ও নিশ্চিত দলসমূহ:

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা সরাসরি সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আমেরিকা, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, ইতালি এবং নামিবিয়া ইতিমধ্যেই তাদের জায়গা নিশ্চিত করেছে।

আসন্ন বিশ্বকাপের সময়সূচি ও আয়োজক:

ক্রিকেটভিত্তিক ভারতীয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসন্ন আসর আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৮ মার্চ শেষ হতে পারে। ২০ দলের এই বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা ও ভারত। ভারতের পাঁচটি ও শ্রীলঙ্কার অন্তত দুটি ভেন্যুতে খেলা হবে।

ফাইনালে পাকিস্তানের প্রভাব:

ফাইনাল ম্যাচটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ভর করছে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সের ওপর। যদি পাকিস্তান ফাইনালে ওঠে, তাহলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি কলম্বোতে হবে। এর কারণ হলো, পাকিস্তান আগামী তিন বছর ভারতের মাটিতে কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না। তবে যদি পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নেয়, তাহলে ফাইনাল আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

টুর্নামেন্টের বিন্যাস:

মোট ২০টি দল চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল সুপার এইটে যাবে। সুপার এইটে আটটি দল দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একে অপরের মুখোমুখি হবে। সেখান থেকে দুটি করে দল সেমিফাইনালে অংশ নেবে। পুরো টুর্নামেন্টে মোট ৫৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।