প্রথমবারের মতো মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কাপ প্লে-অফের কনফারেন্স সেমিফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে 'বেস্ট অব থ্রি সিরিজের' প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে ন্যাশভিলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মায়ামি। এই জয়ে লিওনেল মেসি জোড়া গোল করেছেন এবং একটি গোলে সহায়তা করে দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
'বেস্ট অব থ্রি সিরিজের' প্রথম ম্যাচে মায়ামি ৩-১ ব্যবধানে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ন্যাশভিল ২-১ ব্যবধানে জয়লাভ করে। আজকের তৃতীয় ম্যাচটি তাই দুই দলের জন্যই ছিল 'বাঁচামরার' লড়াই। মেসি ম্যাজিকে ন্যাশভিলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়ে মায়ামি এখন কনফারেন্স সেমিফাইনাল খেলবে এফসি সিনসিনাটির বিপক্ষে, যা ২২ বা ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে ১০ মিনিটেই ইন্টার মায়ামি লিড পেয়ে যায়। প্রায় মাঝমাঠে ন্যাশভিলের কোরকোরানের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান মেসি। সেই বল টেনে নিয়ে বক্সে ঢোকার আগমুহূর্তে চার ডিফেন্ডারের জটলার ভেতর থেকে শট নেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা এবং মুহূর্তেই বল জালে জড়িয়ে যায়।
ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটিও আসে এলএমটেনের পা থেকে। ৩৯তম মিনিটে সতীর্থ জর্দি আলবার লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ে সিলভেত্তি ন্যাশভিলের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে ব্যাক পাসে বল পাঠান পেছনে। প্রায় অরক্ষিত মেসির বক্সের বাইরে থেকে বল জালে পাঠাতে তেমন কষ্টই হয়নি। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মায়ামির দুই গোলই করেছেন আলেন্দে। ৭৩ মিনিটে জর্দি আলবা মেসির সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে টাচলাইনের কাছাকাছি চলে যান। এরপর ব্যাক পাসে বল জালের মুখে পাঠালে সহজেই গোল করেন আলেন্দে। দুই মিনিট পরই আলেন্দে পান মেসির সহায়তা। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের চিপ করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান আলেন্দে। এটি মেসির ক্যারিয়ারের ৪০০তম অ্যাসিস্ট; পেশাদার ফুটবলে যা প্রথম।
ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শের রাতে মেসি বেশি খুশি হওয়ার কথা দলের অর্জনে। গত বছর এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড জিতলেও প্লে-অফের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েছিলেন। এবার সেই ধাপ উতরে এখন কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার অপেক্ষা।




Comments