Image description

শ্রমিক আন্দোলনে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অশান্ত সাভারের আশুলিয়া ও জিরানি শিল্প এলাকায় ১১১টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গাজীপুরের তিনটি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে ৫৪টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। বাকিগুলো শ্রমিকেরা উপস্থিত হয়েও কাজ না করায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একজন পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বন্ধ থাকা ১১৪টি কারখানার মধ্যে ১১১টি সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার। বাকি তিনটি কারখানা গাজীপুরের।

ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বুধবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে কারখানায় উপস্থিত হওয়ার পরও কাজ না করায় ৫৭টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ৫৪টি কারখানা বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ এসব কারখানার শ্রমিকেরা কাজ না করলে মজুরি পাবেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজিএমইএর নেতারা মঙ্গলবার পর্ষদ সভা করে আজ কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তবে নেতাদের একটি অংশ আশুলিয়ার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রম আইনের নির্দিষ্ট ধারায় কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী আজকে কারখানা খোলা হয়নি।

বিজিএমইএর একজন সহ-সভাপতি জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ বিকেলে আশুলিয়ায় মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সংগঠনের নেতারা।

এ বিষয়ে শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, যারা পারছেন, তারা কারখানা চালাচ্ছেন। আর যারা পারছেন না, কারখানা ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। তবে শিল্পাঞ্চলের কোথাও থেকে কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।