Image description

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের দুই শেয়ারবাজারে সূচক পতনের পাশাপাশি টাকার অঙ্কে লেনদেনও কমেছে। ঢাকার বাজারে ডিএসইএক্স সূচক পৌনে ৩ শতাংশ কমেছে। এ সময় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরও কমেছে। আর ডিএসইর বাজার মূলধন হারিয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসই নেতিবাচক ছিল ঢাকার শেয়ারবাজার। সপ্তাহ শেষে, ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১৪১ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট। এতে ডিএসইএক্স সূচক আবারো ৪ হাজার পয়েন্টের ঘরে নেমেছে। সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে। কমেছে অন্য দুটি সূচকও।

এ সময় কমেছে লেনদেনের গতিও। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৬২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৫৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

কমেছে বাজার মূলধনও। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজারমূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। শেষ দিনে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা, যা প্রায় ১ দশমিক ০৭ শতাংশ কম।

বিদায়ী সপ্তাহে হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৮৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৪৫টির, কমেছে ৩২৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।

সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম সিমটেক্স, দ্বিতীয় খান ব্রাদার্স এবং তৃতীয় অবস্থানে ডমিনেজ।

অন্যদিকে, বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক ২৯০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।