
এশিয়া কাপের ফাইনালে নাটকীয় পতনের গল্প লিখে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। পাকিস্তানের শক্তিশালী শুরুর পরও ভারতীয় বোলারদের দাপটে মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। জবাবে ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত, হাতে রেখে মাত্র দুই বল।
পাকিস্তানের নাটকীয় পতন
ম্যাচের শুরুতে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ছিল অপ্রতিরোধ্য। শাহেবজাদা ফারহানের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি (৩৮ বলে ৫৭, ৫ চার, ৩ ছয়) এবং ফখর জামানের ৩৫ বলে ৪৬ (২ চার, ২ ছয়) পাকিস্তানকে ১ উইকেটে ১১৩ রানে পৌঁছে দেয়। কিন্তু ১৩তম থেকে ১৮তম ওভারের মধ্যে মাত্র ৩৩ রানের ব্যবধানে ৯ উইকেট হারিয়ে ধসে পড়ে পাকিস্তান। ৪৪ বল বাকি থাকতেই তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৪৬ রানে।
ভারতের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেন কুলদীপ যাদব। তিনি নিজের শেষ ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। মোট ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। বরুণ চক্রবর্তীও ছিলেন দুর্দান্ত, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্পেলে ফারহান, ফখর জামানসহ মূল ব্যাটারদের ফেরান। জসপ্রীত বুমরা শেষ ওভারে হারিস রউফকে বোল্ড করে ম্যাচের ইতি টানেন। বুমরা এবং অক্ষর প্যাটেল দুটি করে উইকেট নেন।
ভারতের রোমাঞ্চকর তাড়া
১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের পথ সহজ ছিল না। পাকিস্তানের বোলাররা শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করে। তবে ভারতীয় ব্যাটাররা ধৈর্য ধরে খেলে শেষ ওভারে জয় ছিনিয়ে নেয়। ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো দুললেও শেষ হাসি হাসে ভারত।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট
কুলদীপের ম্যাজিক স্পেল: ১৮তম ওভারে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন কুলদীপ।
বরুণের দৃঢ়তা: পাওয়ারপ্লে থেকে শুরু করে মিডল ওভারে ফারহান ও ফখরকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন বরুণ চক্রবর্তী।
বুমরার শেষ প্রহার: হারিস রউফকে বোল্ড করে বুমরা পাকিস্তানের শেষ আশা নিভিয়ে দেন।
পাকিস্তানের হতাশা
একসময় ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস তাদের হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফারহান ও ফখর ছাড়া কোনও ব্যাটারই ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। এই পতন দুবাইয়ের মঞ্চে তাদের শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে দেয়।
ভারতের শিরোপা জয়
হার্দিক পান্ডিয়ার চোট সত্ত্বেও ভারতীয় দল একত্রিত হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে। বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে দলগত প্রচেষ্টায় তারা এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের করে নেয়। এই জয় ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি স্মরণীয় অধ্যায় যোগ করল।
Comments