Image description

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো চট্টগ্রাম জেলার আট প্রবাসীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজন সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা এবং একজন রাউজান উপজেলার বাসিন্দা।

রাউজানের আলাউদ্দিনের লাশ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয় শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে। বাকি সাতজনের মরদেহ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সন্দ্বীপে পৌঁছায়।

শনিবার রাতেই রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের ইউসুফের ছেলে আলাউদ্দিনের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। সন্দ্বীপের সাতজনের একসঙ্গে রোববার সকালে পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার আয়োজন করা হলেও গোসল সম্পন্ন না হওয়ায় সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে নিজ নিজ গ্রামে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। 

আট ওমান প্রবাসী সাগরে মাছ শিকারের কাজ করতেন। তাদের মধ্যে সন্দ্বীপের সাতজন হলেন— আমিন মাঝি (৫০), সাহাব উদ্দিন (২৮), বাবলু (২৮), রকি (২৭), আরজু (২৬), জুয়েল (২৮) ও মোশাররফ হোসেন রনি (২৬) এবং রাউজানের বাসিন্দা আলাউদ্দিন।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার আয়োজন করা হলেও গোসল সম্পন্ন না হওয়ায় নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গোসল শেষে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে, ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মরদেহ শনিবার রাত সোয়া ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। রাত ৯টা ২০ মিনিটে নিহত প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

গত ৮ অক্টোবর ওমানের ধুকুম প্রদেশের সিদরা এলাকায় ওই আট প্রবাসীকে বহনকারী গাড়ির সঙ্গে অন্য একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে তারা নিহত হন।