জামালপুরে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা বিএনপি সভাপতির ৪ নির্দেশনা
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সমর্থকদের পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি ও অভ্যন্তরীণ বিরোধ ঠেকাতে ৪টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম। রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে, রোববার ৫টি সাংগঠনিক বিভাগের প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
ফেসবুক পোস্টে ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম লেখেন, ১. আসন বা প্রার্থী-সংক্রান্ত বিষয়ে দল থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (বিশেষত ফেসবুক) “মনোনয়ন পেয়েছেন”, “গ্রীন সিগন্যাল পেয়েছেন” ইত্যাদি দাবি-সম্বলিত কোনো পোস্ট, স্ট্যাটাস, রিঅ্যাকশন বা মন্তব্য করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ২. সম্ভাব্য কোনো প্রার্থীকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক, অপমানজনক বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, পোস্ট, কমেন্ট বা শেয়ার করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। ৩. মনোনয়নপ্রাপ্তির গুজব বা ধারণার ভিত্তিতে মিষ্টি বিতরণ, বিজয় মিছিল বা যেকোনো প্রকার উৎসব আয়োজন দলীয় নীতি ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী—বিধায় এসব কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ৪. এসব নির্দেশনা অমান্য করে কেউ যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, তবে দলের সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি দলীয় ঐক্য, সংহতি ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ধানের শীষ প্রতীকের একক প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তারই চাচাতো বোন সালিমা তালুকদার আরুনী মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নামেন। এরপর পাল্টে যায় রাজনীতির দৃশ্যপট।
সালিমা তালুকদার আরুনী বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার সালাম তালুকদারের মেয়ে। বাবার পরিচয়ে হাইকমান্ডে তার বিশেষ লবিং রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। তবে তৃণমূল থেকে উঠে আসা ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম দুঃসময়ে পরীক্ষিত নেতৃত্ব হিসেবে মাঠে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তিনিও জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন পেতে।




Comments