পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘কোন সন্ত্রাসী বা অপশক্তি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশের সকল ইউনিট তৎপর রয়েছে।’
শনিবার বিকেলে খুলনার বয়রা পুলিশ লাইনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত ৩টি নির্বাচনে পুলিশকে বিতর্কিত করা হয়েছে। পক্ষপাতিত্ব ও অন্যায় করতে বাধ্য করা হয়েছে। যে কারণে বিগত দিনের সকল ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ। এ কারণেই পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্যদের ট্রেনিং দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।’
আইজিপি বলেন, ‘বর্তমান সরকার চাচ্ছেন একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ফলে এবারের নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। এ কারণে আমরা ট্রেনিং নিয়ে প্রশিক্ষিত হচ্ছি।’
এবারই প্রথম পুলিশের দায়িত্ব ও বর্তব্য পালন নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিগত ১৪, ১৮ এবং ২৪ সালের নির্বাচনে পুলিশকে দিয়ে অন্যায় করিয়ে বিতর্কিত করা হয়েছে। ফলে এবার স্ব-উদ্যোগে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিগত দিনের সবকিছু ঝেড়ে ফেলে একটি সু-শৃংখল নির্বাচন করা হবে। তবে, এর মধ্যে যেসব পুলিশ সদস্য এখনও সংশোধন হতে পারেনি বা পারবে না নির্বাচনে তাদের মূল নেতৃত্বে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। বিতর্কিতদের চিহ্নিত করতে রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে দায়িত্ব বন্টনের সময় বিষয়টি দেখা হবে।’
নির্বাচনে পুলিশ সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আইজিপি বলেন, ‘মানুষ নির্বাচনের জন্য উদগ্রিব হয়ে আছে। তবে, পুলিশের একার পক্ষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এজন্য সকলের সহযোগিতা নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।’
এ আই দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিস এবং ডিস ইনফরমেশন দিয়ে ফেইক নিউজ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে- জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বিষয় দেখা হচ্ছে। তবে, স্বাধীনতার নামে আপনি কতটুকু করতে বা লিখতে পারবেন- সে বিষয়েও আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত খুব বেশী অগ্রগতি হয়নি। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৯টি হত্যা ও ৩৭টি অন্যান্য মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৩০-৩১ জনকে এখনও আমরা গ্রেপ্তার করতে পারিনি।’
সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘৫ আগষ্টের পরে যদি কাউকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয় তাদেরকে ১৭৩ অধ্যাদেশের মাধ্যমে অব্যহতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানা থেকে আদালতে সুপারিশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিএমপিকে ২ সহস্রাধিক ব্যক্তিকে মামলায় হয়রানী না করার জন্য বলা হয়েছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হক ও কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




Comments