চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামলো ১১ ডিগ্রীতে
দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় ধীরে ধীরে জেঁকে বসেছে শীত। শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের ছিল আর্দ্রতা ৮১ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ভোরে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শীতের প্রকট অনুভূতি। কয়েক দিন ধরে সকাল ও সন্ধ্যায় তাপমাত্রার বড় ধরনের তারতম্য দেখা যাচ্ছে।
শনিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেখানে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জানান, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। সকাক ৯ টায় এ তাপমাত্র আরো কমে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। এখন পর্যন্ত এটাই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আগামী কয়েক দিন এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং তা ১০–১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক দিন ধরেই শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনযাপনে চাপ অনুভব করছেন খেটে-খাওয়া মানুষ। ভোরে রাস্তায় নামলেই তীব্র হিমেল বাতাসে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও দিনমজুরদের মতে, শীত বাড়ায় কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। শিশুদের ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে, বিশেষ করে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু বাড়ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শীতের আগমনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় খেজুরগাছিরাও। গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছের রস সংগ্রহ চলছে জোরেশোরে।




Comments