কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর মিনহাজ উদ্দিন তুষার (৩৫) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম উমখালী এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিনহাজ উদ্দিন তুষার কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ডিকপাড়া এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় কৃষকরা নদীতীরবর্তী সবজি ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন। স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ ভুট্টো জানান, জোয়ারের তোড়ে মরদেহটি পাড়ে আটকে ছিল। খবর পেয়ে রামু থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় নিহতের পকেটে থাকা দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে সকাল ১১টার দিকে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই মুন্না জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তুষার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। গত তিন দিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। তুষার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মুন্না অভিযোগ করে বলেন, "আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।"
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, "মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।" তিনি আরও জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা ও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর এভাবে মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় পিএমখালী ও রামু এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তুষারের বন্ধুরা ও স্থানীয়রা এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।




Comments