Image description

বিজয় দিবসের মাস উপলক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা। অভিযোগ উঠেছে, খোদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং সুকৌশলে ‘পাকিস্তান’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ’ শব্দগুলো এড়িয়ে গেছেন।

ডিসেম্বরের শুরুতে দেওয়া ওই পোস্টে জুমা ১৯৪৭ সালকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ফসল হিসেবে ‘কাঙ্ক্ষিত বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন। এরপর ১৯৭১ সালের প্রসঙ্গ টানলেও সেখানে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নাম উল্লেখ করেননি। এছাড়া ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ বীরাঙ্গনার আত্মত্যাগের বিষয়টিকে তিনি ‘সহস্র শহীদ ও সহস্র বোনের সম্মান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তার এই শব্দ চয়ন ও ইতিহাস উপস্থাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় উঠেছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া নামের এক ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘লজ্জাবোধের কারণেই কি পাকিস্তান শব্দটি লিখতে কষ্ট হলো? মনে হচ্ছে আপনারা আসলেই ৭১ মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’ রিফাত নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘৩০ লাখ শহীদ আর হাজার খানেক কি সমান? লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে আমরা বিজয় পেয়েছিলাম সাতচল্লিশে, একাত্তরে নয়।’

তবে সমালোচনার জবাবে ফাতিমা তাসনিম জুমা বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর কি অন্য কিছুর? যারা সমালোচনা করার, পাকিস্তান বা মুক্তিযুদ্ধ শব্দ থাকলেও তারা সমালোচনা করত।’