Image description

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) ধর্ষণ ও র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ধর্ষণের অভিযোগে চারজন এবং র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় একজনকেসহ মোট পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকায় পাঁচজনকে এক সেমিস্টার (ছয় মাস) বহিষ্কার এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ১২ শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংসদসহ সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘ জরুরি সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুল্লাহ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন- আইন বিভাগের ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দেলোয়ার ভূঁইয়া, তাজুল ইসলাম তাজ, শ্রাবণ সাহা ও ২৭তম ব্যাচের অন্তু দেওয়ান।

র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন- আইন বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অন্তু দেওয়ান ও তরিকুল ইসলাম। (উল্লেখ্য, অন্তু দেওয়ান উভয় ঘটনায় অভিযুক্ত)।

র‍্যাগিংয়ের দায়ে এক সেমিস্টার (ছয় মাস) বহিষ্কৃত ৫ জন হলেন- আইন বিভাগের ৩২তম ব্যাচের আশরাফুল ইসলাম, নাইম, মেহেদী হাসান, সাজ্জাদ বাবর এবং ২৮তম ব্যাচের মেহেদী হাসান।

এছাড়া র‍্যাগিংয়ের সময় উপস্থিত থাকায় ১২ জনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তারা হলেন- আসিফ রহমান লাবিব, লতিফুল হক লোবান, সামিউল ইসলাম, আলিমুল ইসলাম নাহিদ, মোহাম্মদ ওয়ালিদ প্রধান, আসাদুর, শ্রাবণ সাহা, দেলোয়ার ভূঁইয়া, ইমামুল মোরসালিন, কাজল, খন্দকার জিহাদ হাসান ও আইয়াজ হক।

গত ২ ডিসেম্বর রাতে আশুলিয়া থানায় গণ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী। ওই রাতেই পুলিশ চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাতে আশুলিয়ার নলাম এলাকায় এক জুনিয়র ছাত্রকে মেসে ডেকে নিয়ে রাতভর র‍্যাগিং ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল ক্যাম্পাস। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের পক্ষ নেওয়ায় বৃহস্পতিবার আইন বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেনকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে প্রক্টর, আইন বিভাগের সভাপতিসহ তিন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করা হয়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসন, গকসু ও সাংবাদিক সমিতিসহ সব পক্ষের অংশগ্রহণে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে রাত ৮টার দিকে রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুল্লাহ শাস্তির ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ ও তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে এই শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে।’