জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে পদদলিত করতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ ও প্রশাসনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলামসহ দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে উপাচার্যকে অবরোধ করে ভোর পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রদল।
গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা থেকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তাঁরা রাতভর উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আনুমানিক রাত ১টার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা শুরু করেন চারুকলা অনুষদের কিছু শিক্ষার্থী। পরে সেখানে প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চায়।
এ সময় এক শিক্ষার্থী বলে ওঠে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়ে গেছে। পরে এ কথা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় আস সুন্নাহ হল এবং ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই পক্ষের মধ্যে।
জানা যায়, পরবর্তীতে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাতভর প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় তারা উপাচার্যের গাড়িও অবরোধ করে রাখেন। পরে ভোর ৫টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবরোধ তুলে নিলে উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘চব্বিশের জুলাইয়ের পর আমরা মনে করেছিলাম, ভিন্নমতকে প্রকাশ করতে পারব। কিন্তু আজকের ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা এখনো স্বাধীন হতে পারিনি। জবিতে কোনো স্বৈরাচার কিংবা মবতন্ত্রের আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না। ছাত্রদল বাংলাদেশের জন্য ঘুমায় না। সবার আগে বাংলাদেশ।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে ভিন্ন দেশের কোনো পতাকা অঙ্কন করতে হলে প্রশাসনের পূর্বানুমতি প্রয়োজন। কিন্তু কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই মেইন গেটে পাকিস্তানের পতাকা অঙ্কন শুরু করা হলে প্রক্টরিয়াল টিম বাধা প্রদান করে। এরপরও তারা আমাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পতাকা অঙ্কন সম্পন্ন করে।’




Comments