Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘নেতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, বিশেষ চেয়ার, বিশেষ প্রটোকল এই বিশেষ মানুষকে আর আমরা সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে মানব না। আমরা প্রয়োজন হলে দশটা ভোট পাব, কিন্তু চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে। চাঁদাবাজদের কাছে কখনো মাথা নত করব না। দেবিদ্বার থেকে চাঁদাবাজদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।’

আজ রোববার রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের পদ্মকুট বাজারে উঠানে রাজনীতি শীর্ষক এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমার মায়েরা-বোনেরা রোজা রেখে আমাকে ভোট দিতে আসবেন। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ভাই-বোনরা আমার জন্য কাজ করবেন। প্রবাসে থাকা ভাইয়েরা ফোনে ভোট দেওয়ার জন্য পরিবারকে বলে দিয়েছেন। রাজমিস্ত্রী ও খেটে খাওয়া মানুষ যারা আমার বাবার বন্ধুরা—এবার তারাই হবে আমার নির্বাচনের এজেন্ট, কারণ তাদের সন্তান এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। মা-বাবার এ ভোট তাদের সন্তানের পক্ষেই হোক।’

এনসিপি এ নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ আছে, যারা জাগতিক স্বার্থে পরাজয় মানে না, গুলির মুখেও বুক পেতে দেয়। এবার নির্বাচন হবে তাদের জন্য পরীক্ষা। দাদাকে দেখে, নাতিকে কেউ ভোট দেয় না; ব্যক্তি দেখে ভোট দেয়। ভোট দেন আমারে, আর এসে মাতব্বরি করেন আমার বউ–শালা—এটা কি আপনারা মেনে নেবেন? দাঁড়ালেন লাল মিয়া, ভোট চাইছেন চান মিয়া, আর সংসদে যাবেন কালা মিয়া—তাহলে আমার ভোট কোন মিয়া পাবে? আমি যদি জিতি, সংসদে কি আমার বউ যাবে? আমার ছেলে যাবে? আমার বাবা যাবেন? যে সংসদে যাবে তাকেই ভোট চাইতে হবে, তাকেই মাতব্বরি করতে হবে। কেউ যদি মাতব্বরি করতে চায়, তাকে নিজে ভোটে দাঁড়াতে হবে।’

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এখন যদি কেউ মনে করে লাঠি দিয়ে দেশ চালাবে শেখ হাসিনার কথা মনে আছে তো? এ ছুপা নেতাগিরি বাংলাদেশে আর চলবে না। আমাদের দেশে অনেক চেয়ারম্যান আছেন চেয়ারম্যানের চেয়ে তাঁর ছেলে বেশি সেয়ানা। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, কারণ আমরা যারা নেতা বানাই নেতারা কখনো আমাদের মানুষই মনে করে না।’