নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কাহিন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পিটুনির শিকার হন লাভলী আক্তার (২৫) নামে একজন নারী । পরে পুলিশ তাকে আটক করে। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বিল্লাল হোসেন হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দি গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। অন্যদিকে আহত লাভলী আক্তার একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে জাকির হোসেন নামের কাহেন্দী এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে বিল্লালসহ ১০–১২ জন অপরিচিত লোকের উপস্থিতি টের পান এলাকাবাসী। এ সময় গ্রামের লোকজন একত্র হয়ে ধাওয়া দিলে বিল্লাল তাঁদের হাতে ধরা পড়েন। বিল্লালের সঙ্গে থাকা বাকি লোক পালিয়ে যান। গ্রামবাসীর পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই বিল্লাল মারা যান। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা ওই নারীকেও ডাকাত সন্দেহে পিটুনি দেন এলাকাবাসী। পিটুনি থেকে বাঁচতে ওই নারী পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। পরে গ্রামের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ ওই নারীকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে ওই নারী আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
লাভলী আক্তার জানান, তিনি ডাকাতিতে জড়িত নন। তাঁর দাবি, পেশায় তিনি যৌনকর্মী। ঘটনার সময় খদ্দেরের সঙ্গে ওই এলাকায় ছিলেন। লোকজনের চিৎকারে ভয় পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় লোকজন ডাকাত সন্দেহে তাঁকে মারধর করেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, সুরতহাল শেষে বিল্লালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments