Image description

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় অটোরিকশায় তুলে ভুল পথে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরে মেয়েটি লাফ দিয়ে অটোরিকশা থেকে নেমে নিজেকে রক্ষা করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও তার সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই কিশোরী।

গ্রেফতারকৃতরা হল, উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের জকিনগর গ্রামের তারা খানের ছেলে সিএনজি চালক ইমন খান, একই গ্রামের আব্দুর রউফ ওরফে রুপ মিয়ার ছেলে মিটু মিয়া।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ওই কিশোরী তিন বান্ধবীর সঙ্গে গ্রামের বাড়ি থেকে দিরাই শহরে শপিংয়ে আসে। দুজন বান্ধবী কেনাকাটা শেষে আগেই বাড়ি চলে যায়। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী সন্ধ্যায় কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার অটোরিকশায় ওঠে। এ সময় অটোরিকশার যাত্রী হয়ে ওঠে আরও দুই যুবক।

পরে চালক গাড়িটি দিরাই বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ছেড়ে মেয়েটির গ্রামের বাড়ির সড়কে এলে চালককে গাড়ি থামিয়ে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে। চালক মেয়েটির কথা না শুনে জোরপূর্বক গাড়ি চালিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কিশোরীকে কয়েক কিলোমিটার দূরের গণিগঞ্জ এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় গাড়ির যাত্রীবেশী দুই যুবক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটি আত্মরক্ষায় চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়।

পরে খবর পেয়ে কিশোরীর বাবা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই হাসপাতালের সেবিকা জানান, চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ায় বেশ আহত হয়েছে ওই কিশোরী।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতেই দিরাই উপজেলার জকিনগর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ইমন খান (২৫) ও মিঠু মিয়া নামের দুই জনকে আটক করা হয়েছে। আরেক যুবককে আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।