হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করতে চাই: খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা হিন্দু-মুসলমান সবাই ভাই ভাই হয়ে বসবাস করতে চাই। মুসলমানদের মসজিদ পাহারা দিতে হয় না, তাহলে মন্দির কেন পাহারা দিতে হবে? এদেশে আমি যেমন নাগরিক, তেমনি আপনিও সমান নাগরিক। সংখ্যালঘু বলে কোনো শব্দ নেই। নিজেদের দুর্বল ভাবলে হবে না, প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা সর্বপ্রকার সহযোগিতা করব।”
২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিকেলে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জর্জ একাডেমি হলরুমে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের উদ্যোগে বিভিন্ন পূজা মন্দিরে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, “ফরিদপুর-১ আসন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যবাহী জনপদ। যুগ যুগ ধরে সব ধর্মের মানুষ এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ উৎসব আয়োজনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। কেউ সম্প্রীতি ভাঙতে চাইলে তাকে প্রতিহত করা হবে।”
অনুষ্ঠানে তিনি মোট ১২২টি মন্দির কমিটির হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের বোয়ালমারী উপজেলা শাখার সভাপতি সঞ্জয় কুমার সাহা।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম,পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আফসার, পৌর বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আঃ কুদ্দুস শেখ, সদস্য খান আতাউর রহমান ও আকরাম হোসেন মিয়া, জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদক ও পৌর সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য ইমরান হুসাইন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, বোয়ালমারী পৌর শাখার সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র দাস, পৌর সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র চক্রবর্তী, উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কান্তি বিশ্বাস, পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক পুলক সাহা প্রমুখ।
Comments