
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন যে, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এই নির্বাচনকে সামনে রেখে যত বাধাই আসুক জনগণ তা প্রতিহত করবে। তিনি এটিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত নতুন সরকারের বৈধতা ও জনগণের সামাজিক চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস হাসপাতাল চত্বরে জেলা ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অনেকেই বর্তমান সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, “আপনাদের বলতে চাই, ২০০৯ সাল থেকে লাখ লাখ মানুষ রাজনৈতিক হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ গুম হয়েছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিদায়ে সাংবিধানিক সব পথ যখন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ছাত্র জনতার এই বিজয় দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ উন্মুক্ত করেছে। এই উন্মুক্ত পরিবর্তিত পরিস্থিতিই বর্তমান সরকারের বৈধতা দিয়েছে। জনগণ এই সরকারকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে "পৃথিবীর যত সভ্যতা আছে সব সভ্যতার মাধ্যমে যেসব সরকার অতীতে গঠিত হয়েছে, তার মধ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সবচেয়ে বৈধ সরকার" বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, যারা দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল, তারা আগামী নির্বাচন বানচালে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে পুনর্ব্যক্ত করেন, “আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হবে। জনগণ সতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দেবে। এটাই জনগণের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সামাজিক চুক্তি।”
ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুন্সি কামাল আজাদ পান্নুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনা, মো. আক্তারুজ্জামান, মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Comments