রামগঞ্জে মা–মেয়েকে জবাই করে হত্যা: ভাতিজা সোহেল রানা আটক

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় নৃশংসভাবে মা ও মেয়েকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে বা পরে উপজেলার উত্তর চন্ডিপুর গ্রামের খামারবাড়ির একটি দ্বিতল ভবনে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই সারাদেশে বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন তোলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সোহেল রানা (৩৫) নামের একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল বারী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক ও সম্পত্তিগত বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে সোহেল রানা তার চাচা মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন জমি থেকে জোরপূর্বক কয়েকটি গাছ কেটে নেয়। এ ঘটনার জেরে সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও “মিজান ক্রোকারিজ”-এর মালিক মিজানুর রহমান ভাতিজা সোহেল রানাকে মারধর করেন। এ সময় মিজানের মেয়ে তানহা আক্তার মীম পিতাকে লাঠি এগিয়ে দেন ভাতিজাকে মারার জন্য।
স্থানীয়রা জানান, সোহেল রানা মিজানুর রহমানের আপন ভাতিজা। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে তার গতিবিধি এবং বিভিন্ন টিভি মিডিয়ায় দেয়া বক্তব্য নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, মূল ঘটনাকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের চেষ্টা করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত। কয়েক বছর ধরে সে ঢাকায় অবস্থান করলেও গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গ্রামে ফিরে এসে আবারও মাদক বিক্রি ও নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, আটক সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
Comments