
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের দিনমজুর যতন ফকিরের চার সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রাজন খান রাজু। বয়স মাত্র পাঁচ বছর। জন্মের পর থেকেই এক বিরল রোগে আক্রান্ত এই শিশু। তার সারা শরীরে অস্বাভাবিকভাবে লোম গজিয়েছে — যেন মানুষের নয়, বানরের শরীর!
গরমে এই লোমে তীব্র চুলকানি ও জ্বালায় ভোগে রাজন। দিন দিন বাড়ছে তার কষ্ট। অথচ আর্থিক অভাবে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না রাজনের বাবা-মায়ের পক্ষে।
রাজন কাঁদো কণ্ঠে বলে, আমার শরীরে অনেক কষ্ট হয়, আমি বাঁচতে চাই।”
রাজনের বাবা যতন ফকির বলেন, “আমার ছোট ছেলে রাজনকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। ওর কষ্ট দেখতে পারি না, কিন্তু চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। যদি কেউ সাহায্য করতো, সরকার বা কোনো সহৃদয় মানুষ এগিয়ে আসতো, তাহলে আমার ছেলেটাও অন্য বাচ্চাদের মতো স্কুলে যেতে পারতো, খেলতে পারতো।”
স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলা থেকেই রাজন এই বিরল রোগে আক্রান্ত। দিন দিন তার অবস্থা খারাপ হচ্ছে। রাজনের কান্নায় তারা নিজেরাও কেঁদে ফেলেন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই নিম্ন আয়ের হওয়ায় সহযোগিতা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা সরকারের কাছে রাজনের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মোহাম্মদ আব্দুল গনি বলেন, এটি একটি বিরল রোগ। আমি জীবনে মাত্র চার-পাঁচজন এমন রোগী দেখেছি। এই রোগের চিকিৎসা নেত্রকোনায় সম্ভব নয়। ঢাকায় বা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।”
Comments