Image description

কুয়াকাটায় গভীর রাতে পর্যটকদের কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগে মো. হালিম নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়রা হালিমকে আটক করলে উপজেলা প্রশাসন এই সাজা প্রদান করে।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হালিম বরগুনা জেলার ফুলবুনিয়া এলাকার মৃত কামাল মূর্ধার ছেলে। তিনি কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন এলাকায় “হোটেল কেয়ার” নামে একটি টিনশেডের চার কক্ষবিশিষ্ট ছোট হোটেল ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৫ অক্টোবর) গভীর রাত প্রায় ৪টার দিকে হালিম কৌশলে একটি আবাসিক হোটেলে প্রবেশ করেন। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুটি দুই সিটবিশিষ্ট কক্ষে অবস্থানরত নারী-পুরুষ পর্যটকদের রুমে ঢুকে গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তিনি পুলিশের নাম ব্যবহার করে পর্যটকদের ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পর্যটকরা রাতেই হোটেল ত্যাগ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল মালিক মো. শাকিলের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়রা হালিমকে আটক করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় হালিমের মোবাইল ফোনে পর্যটকদের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হোটেল মালিক মো. শাকিল বলেন, “রাতে দুটি রুম পর্যটকদের ভাড়া দেওয়ার পর আমি বিশ্রামে যাই। পরে জানতে পারি, হালিম গভীর রাতে স্টাফদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রুমে ঢুকে ভিডিও ধারণ করেছে। সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাই।”

প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, “পর্যটকদের গোপনীয়তা রক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার। অভিযুক্ত ব্যক্তির মোবাইলে ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। আমরা তাকে আইনের আওতায় এনেছি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।”

কুয়াকাটায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং হয়রানি রোধে প্রশাসনের নজরদারি আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।