Image description

সাভারে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তিন যুবক কর্তৃক এক মুসলিম তরুণী শিক্ষার্থী (২২) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মুসল্লি ও এলাকাবাসী।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গোয়ালপাড়া এলাকায় ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বিক্ষোভ থেকে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের সাথে জড়িত তিন যুবককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার পর থেকেই ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছে না। আমরা মুসল্লি ও এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হলে সাভার মডেল থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

ভুক্তভোগী তরুণী বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি)-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের (আইআর) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন - সন্তোষ রোজারিও'র ছেলে সোহেল রোজারিও (৩৭), বানার্ড রোজারিও মেঘার ছেলে বিপ্লব রোজারিও ওরফে তিলক রোজারিও (৪০) এবং মৃত দেবেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে মিঠু বিশ্বাস‌ (৩৫)। তারা ভুক্তভোগীর পথরোধ করে। একপর্যায়ে তার মুখ চেপে ধরে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে ভুক্তভোগী তরুণী প্রাইভেট পড়িয়ে বাসায় ফেরার সময় মাদকাসক্ত সোহেল রোজারিও, বিপ্লব রোজারিও ও মিঠু বিশ্বাস তার পথরোধ করেন। পরে তাকে গোয়ালপাড়া এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে তিনজন মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজের এবং পরিবারের সম্মানহানির কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রাখতে চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এদের সবাইকে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী তরুণী ও আসামীদের বাড়ি বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গোয়ালপাড়ায়। আসামীরা এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি ও বখাটে হিসেবে পরিচিত। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক থাকলেও ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।