
খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাবাকে হত্যার অভিযোগে দায়ে শুভ চন্দ্র নাথ (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রায় আরও চারমাস আগে হত্যার ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি পুলিশি তদন্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উঠে আসে বলে ভাষ্য পুলিশের।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর শুভ চন্দ্র নাথ বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যার শিকার ওই বাবার নাম মাখন চন্দ্র নাথ (৫৪)। তিনি রামগড় পৌর এলাকার গর্জনতলী বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ জানায়, প্রায় চার মাস আগে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে বাবার গলায় রশি বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে শুভ। এমনকি মাকেও হত্যার ভয় দেখিয়ে আত্মহত্যার মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপমৃত্যু মামলাও করায়। কিন্তু ওই মামলা দায়েরের প্রায় চারমাস পর পুলিশি তদন্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উঠে আসে। সর্বশেষ বুধবার অভিযান চালিয়ে শুভকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে খুন করার কথা স্বীকার করার পর খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে শুভ।
জবানবন্দিতে শুভ জানায়, গত ১৩ জুলাই রাতে নিজ বাড়িতে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে সে কোদালের বাট দিয়ে বাবা মাখন চন্দ্র নাথের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সে গলায় রশি বেঁধে বাবার মরদেহ বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। হত্যার কথা কাউকে না বলতে মাকেও হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করতে বাধ্য করে শুভ।
রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মাখন চন্দ্র নাথের মৃত্যুর কারণ ‘মাথায় রক্তক্ষরণ’ উল্লেখ থাকায় নিহতের ভাই রাখাল চন্দ্র নাথ গত মঙ্গলবার রামগড় থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের সূত্র ধরে পুলিশ শুভ চন্দ্র নাথকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাকে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় শুভ।
Comments