Image description

নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল সম্প্রসারণের দাবি যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার রেলওয়ের গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলসহ এরকম স্যাটেলাইট শহর বা ঢাকার সবচেয়ে নিকটবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে বাস্তবায়নের দাবি একেবারেই যৌক্তিক। বিদেশে বহু শহরে রাজধানীর পাশে অবস্থিত শহরগুলোতেও মেট্রোরেল সংযোগ রয়েছে। কাজেই নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল নিয়ে দাবি যথাযথ ও অবশ্যই যৌক্তিক।

তবে এসকল বিষয়গুলো সরাসরি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প বর্তমানে সড়ক ও মহাসড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনে রয়েছে। আমি মূলত এসেছি আপনাদের জনগণের প্রতিনিধিগনের কথা শুনতে ও এ সব দাবি সংশ্লিষ্ট ফোরামে পৌঁছে দিতে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও আমাদের উপদেষ্টার কাছেও আপনাদের চাহিদা মাপিক আকুতি তুলে ধরব।

সচিব আরও জানান, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আট জোড়া ট্রেন চলছে। অতিরিক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। তবে শহর ও বন্দরের যাতায়াত সুবিধা বিবেচনায় রেখে নতুন করে ট্রেন পরিচালনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সভায় রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা স্থানীয় ও অস্থায়ী দোকানপাটের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সচিব মো. নূর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. সোহেল রানা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামী মহানগরের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, বর্তমান আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, ইসলামী আন্দোলন মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও এনসিপি কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক নিরব রায়হান প্রমুখ।