Image description

অবশেষে ৮ দিন পর চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা সদর সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের দ্বন্দ্ব নিরসন হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল থেকে দলিল লেখকদের চলমান কর্মসূচি কলম বিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শামছুল করিম লিটন।

এর আগে দুপুর দুইটার দিকে আনোয়ারা সাব-রেজিস্ট্রার জোবায়ের হোসেনের সাথে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন চট্টগ্রাম জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শামছুল করিম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকবর আলী।

তাদের মধ্যস্থতায় বৈঠকে কলম বিরতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন আনোয়ারা উপজেলা দলিল লেখক সমিতি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ারা দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম জেলা দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম. জাহাঙ্গীর আলম, ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন খান, সানু বিশ্বাস চন্দন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, এসএম সালাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম দাউদ, ওয়াহিদুল ইসলাম ওয়াহিদ, অর্থ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হৃদয়, দপ্তর সম্পাদক মো. আকবর, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, আনোয়ারা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি রফিক উদ্দিন, পরিষদ সদস্য মো. মোরশেদুল আলম মুন্সি, প্রদীপ দত্ত, দলিল লেখক জয়নাল আবেদীন, ইকবাল হায়দার চৌধুরী, সীতাকুণ্ড দলিল লেখক সমিতির সহ-সভাপতি শাহ্ আলম, প্রচার সম্পাদক মো. আসলাম, সদস্য সেকান্দর মিয়া, ফতেয়াবাদ দলিল লেখক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. ওসমান, পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, মো. ইদ্রিস, ওসমান গনি, সুমন মজুমদার, মোছলেহ উদ্দিন দিলু, মো. রায়হান, মো. ইসমাইল, মো. ইয়াসিন প্রমুখ।

জানা যায়, সাব-রেজিস্ট্রারি অফিসে বিভিন্ন অনিয়ম ও সেবা গ্রহীতাদের হয়রানির প্রতিবাদে আনোয়ারা সাব-রেজিস্ট্রারি অফিসের দলিল লেখক সমিতির দলিল লেখকগণ গত ১৯ অক্টোবর সকাল থেকে লাগাতার কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেন। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।

আনোয়ারা দলিল লেখক সমিতির সদস্য মো. মোরশেদুল আলম মুন্সি বলেন, আমরা সাব-রেজিস্ট্রারকে আমাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করি। তিনি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

আনোয়ারা সাব-রেজিস্ট্রার জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আলোচনার পর দলিল লেখকরা তাদের কলম বিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আজ ছয়টি দলিল সম্পাদিত হয়েছে।’