পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের বিক্ষোভ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য গণভোটের আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং ফ্যাসিবাদের দোসর ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ এই ৫ দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার ২৭ অক্টোবর বিকেল ৪টায় চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন ফুটবল মাঠেই শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আমীর অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। তিনি তার বক্তব্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াত নেতাকর্মীরা সীমাহীন অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সচিবালয়, মিডিয়া সহ সবকিছু নিজের দখলে রেখেছিলেন এবং তার বাইরে গেলে ক্রসফায়ার ও 'আয়নাঘর' তৈরি করা হতো।
অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বলেন, শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন হয়েছে এবং তার সকল পরিকল্পনা ভেঙে গেছে। জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা রান্না করা ভাতও খেতে পারেননি, তাকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনার এই পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে জনবিচ্ছিন্ন বা ফ্যাসিস্ট না হওয়ার জন্য সকল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর পরিকল্পনার কাছে মানুষের সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, তাই যারা শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট হতে চান, তাদেরও একই পরিণতি হবে।
জেলা আমীর বলেন, জামায়াতে ইসলামী সবসময় মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছে। তারা দুর্নীতি ও অনিয়মমুক্ত করে একটি সুন্দর সমাজ গঠন এবং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে চান। বক্তব্যে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণসহ গণহত্যার বিচারের দাবিও তোলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন; জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেলসহ জেলা, পৌর, থানা নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।




Comments