শিবগঞ্জে সড়কের পাশে মাসকলাই চাষে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন কৃষকের
দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ। মাঝ দিয়ে পিচঢালা গ্রামীণ পথ। তারই দুই ধারে মাসকলাইয়ের সবুজ কচি ডগা দুলছে হাওয়ায়। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের ফুটপাতে দেখা মিলছে এমন চাষাবাদের।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে পরিবারের খাদ্যচাহিদা মেটাতে এই উপায়ে চাষাবাদ করছেন গ্রামের কিছু কৃষক, যাদের নিজের জমি নেই। রাস্তার ধারে এই সরকারি জমির বেশির ভাগেই চাষ হচ্ছে মাসকলাই।
শিল্প কলকারখানার ধোঁয়া ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল মুক্ত এই মাটি মাসকলাই চাষের জন্য উপযুক্ত। সামান্য পরিশ্রমেই পরিবারের খাদ্যচাহিদা মেটানো সম্ভব এবং বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি আয়ও করা যায় বেশ।
উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের বাহার প্রামানিক বলেন, ‘আমার জমিজমা নাই। তাই রাস্তার ধারে জঙ্গল পরিষ্কার করে মাসকলাই চাষ করছি। কয়েক বছর ধরেই আমি প্রত্যেক মৌসুমে এভাবে রাস্তার ধারে মাসকলাই চাষ করি এবং ফলনও মোটামুটি ভালোই হয়। আর এতে পরিবারের কিছুটা খাদ্যচাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।’
উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘মাসকলাইয়ের ডাল ও কুমুর বড়ি খুবই স্বাদ লাগে। আর বাজারে এর দাম অনেক বেশি। তাই আমি রাস্তার ধার দিয়ে মাসকলাই চাষ করে খাই। আর এতে তেমন খরচও নাই। শুধু বীজ টুকুর খরচ হয়। তাও কোনোবার কিনি এবং কোনোবার অন্য কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’
এ ধরনের অভিনব কায়দায় কৃষিকাজকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান মানবকণ্ঠকে বলেন, ‘বিভিন্ন রাস্তার ধারে, বাগানে, বাড়ির উঠানে এবং বিভিন্ন পতিত জায়গাগুলোতে কৃষকেরা মাসকলাই চাষ করছেন, যা সত্যিই দেখার মতো। এক্ষেত্রে কৃষকদের প্রাথমিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।’




Comments