Image description

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর আনাছ খান (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের চিনাশুখানিয়া গ্রামের বাংগালপাড়া বিল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক দম্পতিকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে, আনাছের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানিয়ে গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন আনাছের দাদা হাছেন আলী খান। 

নিহত আনাছ খান (৫) উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের চিনাশুখানিয়া গ্রামের আল আমিন খানের ছেলে। আটককৃতরা হলেন— চিনাশুখানিয়া উত্তরপাড়ার গ্রামের নজরুল ইসলাম (৫০) ও তার স্ত্রী শাহীনুর আক্তার। 

জিডি সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে আনাছ তার বাড়ি থেকে খেলনা সাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী নজরুলের বাড়িতে খেলতে যায়। সকাল ৯টার দিকে আনাছ বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় তার ব্যবহৃত সাইকেলটি প্রতিবেশী সাজুর বাড়িতে পাওয়া যায়। সাজুকে আনাছের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান যে, নজরুলের স্ত্রী সাইকেলটি তার বাড়িতে রেখে গেছেন। পরে শিশু আনাছকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করা হয়।

এ ঘটনার পর চিনাশুখানিয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামের নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শাহীনুর আক্তারকে রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের বাড়ির আধ কিলোমিটার দূরে বাংগালপাড়া বিল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী জানান, নিখোঁজের পরপরই শিশু আনাছের খোঁজে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে, পাশাপাশি ডিবি পুলিশও ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরপরই ওই দম্পতিকে চিহ্নিত করা হয় এবং তাদের আটক করে রোববার রাতে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা অফিসে এনে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

তিনি জানান, সকালে তারা জানায় তারা প্রথমে একটি সেফটিক ট্যাঙ্কে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে লাশটি রেখেছিল। পরে রাস্তার পাশে সেফটিক ট্যাঙ্কে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে ভেবে লাশটিকে বিলের মাঝের একটি ডোবায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে আটক শাহীনুরকে নিয়ে এসে তার দেখানো স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কী, তা বিভিন্ন দিক থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।